লক্ষ্মীনাথ বেজবারোয়া ভারতের আসাম রাজ্যের একজন প্রখ্যাত লেখক, সাহিত্য সমালোচক এবং সাহিত্যিক ইতিহাসবিদ ছিলেন। তাকে আসামের সাহিত্য ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অসমীয়া সাহিত্যে বিশেষ করে ছোটগল্প এবং প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য পরিচিত।
1864 সালে আসামের শিবসাগর শহরে জন্মগ্রহণকারী বেজবারোয়া অল্প
বয়সেই সাহিত্যের সাথে পরিচিত হন এবং অল্প বয়সেই লেখালেখি শুরু করেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্কিম চন্দ্র চ্যাটার্জির মতো বাংলা সাহিত্যিকদের রচনা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন এবং এটি তার নিজের লেখায় প্রতিফলিত হয়।
![]() |
Lakshminath Bezbaroa: The Literary Giant of Assam and his Contributions to Assamese Literature - Aatm Jivani - লক্ষ্মীনাথ বেজবারোয়া আত্মজীবনী |
About
1890 এর দশকের গোড়ার দিকে বেজবারোয়ার সাহিত্য কর্মজীবন শুরু হয় এবং তিনি দ্রুত একজন বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্য সমালোচক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি ছোটগল্প, প্রবন্ধ এবং সাহিত্য সমালোচনার বেশ কয়েকটি সংকলন প্রকাশ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকা ও সংবাদপত্রের নিয়মিত অবদানকারী ছিলেন।
তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে একটি হল "অ্যাফোরিজম" প্রবন্ধের একটি সংকলন যা অসমীয়া সংস্কৃতি এবং সমাজের বিভিন্ন দিক অন্বেষণ করে।
তিনি "সন্যাসী" এবং "জীবন জেমন" সহ বেশ কয়েকটি নাটক ও উপন্যাস লিখেছেন যা সমাজ সংস্কার এবং সাধারণ মানুষের দুর্দশার বিষয় নিয়ে কাজ করে।
তার সাহিত্যিক অবদানের পাশাপাশি, বেজবারোয়া আসামের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনেও একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
তিনি অসমীয়া ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচারের জন্য একজন শক্তিশালী উকিল ছিলেন এবং এই লক্ষ্যে কাজ করে এমন বেশ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
বেজবারোয়া 1938 সালে মারা যান, কিন্তু তার উত্তরাধিকার তার কাজ এবং তিনি অনুপ্রাণিত অনেক লেখক ও সাহিত্য সমালোচকের মাধ্যমে বেঁচে আছেন।
অসমীয়া সাহিত্যে তাঁর অবদান সত্যিই অমূল্য, এবং তিনি ব্যাপকভাবে আসামের সাহিত্য ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত।
উপসংহারে, লক্ষ্মীনাথ বেজবারোয়া ভারতের আসাম রাজ্যের একজন প্রখ্যাত লেখক, সাহিত্য সমালোচক এবং সাহিত্যিক ইতিহাসবিদ।
তাকে আসামের সাহিত্য ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অসমীয়া সাহিত্যে বিশেষ করে ছোটগল্প ও প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য পরিচিত।
অসমীয়া সাহিত্যে তাঁর অবদান সত্যিই অমূল্য, এবং তিনি ব্যাপকভাবে আসামের সাহিত্য ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত।